নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন 2023 (নতুন নিয়ম)

নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার সঠিক নিয়ম জেনে রাখা প্রয়োজন। কেননা সঠিক নিয়ম না জানলে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে অনেক সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। চলুন জেনে নেই, নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার সঠিক নিয়ম 2022 bdris.gov.bd search


পেজে সূচিপত্রঃ নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার সঠিক নিয়ম 2023

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগে?

নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার পূর্বে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে বা জন্ম সনদ তৈরি কি কি লাগে? সেটা জানার জরুরী বিষয়। কেননা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া jonmo nibondhon online আবেদন করা সম্ভব নয়। চলুন জেনে নেই bdris.gov.bd সরকারি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে? 

নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করার জন্য বয়সভেদে ভিন্ন ভিন্ন কাগজের প্রয়োজন পড়ে। নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন টি যদি শিশুর জন্য হয়, তাহলে যে ধরনের কাগজ লাগবে একজন বয়স্ক ব্যক্তির হলে, হিন্দু কাগজের প্রয়োজন পড়বে। কখন বয়সী ব্যক্তিদের জন্য কোন কোন কাগজের প্রয়োজন হবে তা নিচের বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলো।

  • জন্মের পর থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে 
১। জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার জন্য জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট কপি। 
২। শিশুর টিকা দানের কাগজপত্র। ইপিআই (এক্সপান্ডেড প্রোগ্রাম অন ইমিউনাইজেশন) টিকা কার্ড। 
৩। শিশুর ০১ কপি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি। 
৪। শিশু যে হাসপাতালে বা ক্লিনিকে জন্মগ্রহণ করেছে সেই হাসপাতাল বা ক্লিনিক কর্তৃক বার্থ এটেনডেন্ট-এর প্রত্যয়ন পত্র বা তাদের হাসপাতালে যে শিশুটি জন্মগ্রহণ করেছে সে সক্রান্ত যেকোনো প্রমাণপত্র।
৫। বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই পিতা-মাতার অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম সনদের ফটোকপি।
৬। পিতা-মাতারজাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
৭। বাড়ির হোল্ডিং নাম্বার এবং হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্স এর রশিদ এর ফটোকপি। 
৮। অভিভাবকের মোবাইল নম্বর।
 
  • দেড় মাস থেকে ০৫ বছরের মধ্যে

১। জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার জন্য জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট বা ফটোকপি ।
২। শিশুর টিকা দানের কাগজপত্র। ইপিআই (এক্সপান্ডেড প্রোগ্রাম অন ইমিউনাইজেশন) টিকা কার্ড। বা সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মীর প্রত্যয়নপত্র। প্রত্যয়ন পত্রে স্বাক্ষর ও সীল থাকতে হবে।  
৩। শিশুর ০১ কপি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি। 
৪। শিশু যে হাসপাতালে বা ক্লিনিকে জন্মগ্রহণ করেছে সেই হাসপাতাল বা ক্লিনিক কর্তৃক বার্থ এটেনডেন্ট-এর প্রত্যয়ন পত্র বা তাদের হাসপাতালে যে শিশুটি জন্মগ্রহণ করেছে সে সক্রান্ত যেকোনো প্রমাণপত্র।
৫। বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই পিতা-মাতার অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম সনদের ফটোকপি।
৬। পিতা-মাতারজাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
৭। বাড়ির হোল্ডিং নাম্বার এবং হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্স এর রশিদ এর ফটোকপি। 
৮। অভিভাবকের মোবাইল নম্বর।
৯। প্রয়োজনক্ষেত্রে স্কুলে অধ্যায়নের প্রমাণপত্র ও স্কুল প্রধানের প্রত্যয়নপত্র। 

  • পাঁচ বছর বয়স বা তার অধিক হলে
১। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ( পিএসসি, জেএসস্‌ এসএসসি, এইচএসসি ) । যদি শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র না থাকে, তাহলে এমবিবিএস ডাক্তার কর্তৃক বয়সের প্রত্যয়ন পত্র। এবং জন্ম নিবন্ধন ফরমের ৭ নং কলামে স্বাক্ষরসহ সিল নিতে হবে।
২। ১ যাদের জন্ম  ০১/০১/২০০১ সালের পর, বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই তাদের পিতা-মাতার অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম সনদের ফটোকপি।
৩। যাদের জন্ম ০১/০১/২০০১ সালের আগে তাদের পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক। 
৪। আবেদনকারীর জন্ম যদি ০১/০১/২০০১ সালের আগে হয়, এবং তার পিতা মাতা জীবিত না থাকে তাহলে তার পিতা মাতার মৃত্যু সনদ। 
৫। আবেদনকারীর জন্ম যদি ০১/০১/২০০১ সালের পরে হয়, এবং পিতা-মাতা জীবিত থাকে। তাহলে পিতা-মাতার অনলাইনে আবেদনকৃত জন্ম ও মৃত্যু সনদের ফটোকপি। 
৬। হোল্ডিং নাম্বার ও হাল সনের ট্যাক্সের রশিদ। 
৭। অভিভাবকের মোবাইল নম্বর।
৮। ০১ কপি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

ওপরে উল্লিখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকলে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আরেকটি বিষয় জানিয়ে রাখা প্রয়োজন, আগে হাতে লেখে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করার নিয়ম থাকলেও বর্তমানে হাতে লেখে কোন জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করার নিয়ম নেই। তাই নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন বা জন্ম সনদ তৈরি করার ক্ষেত্রে সকল কাজ অনলাইনে করতে হবে।

bdris.gov.bd search বা অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য প্রদান করতে হবে। নিচে নতুন  jonmo nibondhon বা jonmo nibondhon online এর মাধ্যমে কিভাবে আবেদন করতে হয় সে বিষয়টি ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হবে। জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। আর্টিকেলটির শেষের দিকে জন্ম নিবন্ধন নতুন লিংক দেওয়া হয়েছে। 

কিভাবে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করবেন?

নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যেই নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। নির্ধারিত সময় অতিবাহিত করে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করালে ভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই নির্ধারিত সময়ের জন্ম নিবন্ধন আবেদন করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

বাংলাদেশের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন  ২০০৪ অনুযায়ী যখন একজন শিশু জন্মগ্রহণ করবে তখন তার নাম, জন্ম তারিখ ও স্থান, লিঙ্গ,  বাবা মায়ের নাম, তাদের জাতীয়তা ও স্থায়ী ঠিকানা, নির্ধারিত জন্ম নিবন্ধক কর্তৃক  রেজিস্টার হাত দিয়ে লিখে বা কম্পিউটারে সকল ডাটা এন্ট্রি করে  জন্ম সনদ প্রদান কর হবে।
২০০৪ সালের আইন অনুযায়ী শিশুর জন্ম সনদের প্রক্রিয়ায় হাত দিয়ে লিখে জন্ম নিবন্ধন করার বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও বর্তমানে সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে গেলে সমস্ত তথ্য অনলাইনে প্রদান করতে হবে। চলুন দেখে নেই নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন  করার সঠিক নিয়ম 2022

প্রথমে আপনাকে এই লিঙ্কে  https://bdris.gov.bd/br/application প্রবেশ করতে হবে। লিংকটিতে প্রবেশ করার পর আপনাকে যে ওয়েবসাইটটিতে নেওয়া হবে সেটি হলো বাংলাদেশ সরকারের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ওয়েবসাইট। সেখানে আপনাকে যাবতীয় তথ্য প্রদান করতে হবে। ওয়েবসাইটটিতে ঢোকার পর প্রথমে আপনার সামনে নিচের চিত্রের মত একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে।

উপরে বর্ণিত চিত্রে তিনটি অপশন দেয়া রয়েছে তার মধ্য থেকে যে অপশনটি আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেটি টিকমার্ক দিয়ে "পরবর্তী" বাটনটিতে ক্লিক করুন। পরবর্তী বাটনে ক্লিক করার পর নিচের চিত্রের মত আরেকটি ইন্টারফেস আপনার সামনে ওপেন হয়ে যাবে। সেখানে যে সকল তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হবে সেগুলো যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে।

উপরে উল্লেখিত চিত্রে বর্ণিত সকল তথ্যগুলো সঠিক ভাবে প্রদান করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে যার জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে চান, তার নামের যদি দুইটি অংশ থাকে তাহলে নামের প্রথম অংশটি প্রথম ইনপুট বক্সে বসাতে হবে, এবং দ্বিতীয় অংশটি দ্বিতীয় ইনপুট বক্সে বসাতে হবে। এটি জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি নিয়ম, তাই এই অংশটি পূরণের ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে।

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন কারীর নামের যদি তিনটি অংশ থাকে, তাহলে নামের প্রথম ও দ্বিতীয় অংশ প্রথম ইনপুট বক্সটিতে বসাতে হবে এবং নামের শেষের অংশ তৃতীয় ইনপুট বক্স এ বসাতে হবে।আর যদি আবেদনকারীর নাম এক শব্দের হয় তাহলে প্রথম ইনপুট বক্স টি ফাঁকা রেখে দ্বিতীয় ইনপুট বক্সে নামটি বসাতে হবে।

ঠিক একই পদ্ধতিতে jonmo nibondhon online আবেদনকারীর নাম ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে।  এরপর আবেদনকারী পিতামাতার কততম সন্তান সেটি উল্লেখ করতে হবে। তারপর সঠিকভাবে জন্মতারিখ বসাতে হবে।। 

যে ব্যক্তি নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করবেন তার বয়স যদি পাঁচ বছরের বেশি হয় তাহলে অতিরিক্ত আরো কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। আর পাঁচ বছর বয়সের কম হলে অতিরিক্ত কোনো তথ্যের প্রয়োজন পড়বে না। পাঁচ বছর বয়সের বেশি হলে কোন কোন কাগজপত্র লাগবে তা ইতোপূর্বে বলা হয়েছে। পড়ে না থাকলে এখান থেকে পরে আসতে পারেন। জন্ম নিবন্ধন নতুন লিংক সম্পর্কে নিচের বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। 

নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন প্রক্রিয়ায় এ পর্যায়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ আপনাকে করতে হবে। তা হলো নতুন jonmo nibondhon online আবেদনকারীর পিতা মাতার বিস্তারিত তথ্য। নিচের চিত্রে আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে প্রথমে পিতার তথ্য এবং পরে মায়ের তথ্য প্রদান করার জন্য কিছু খালি বক্স দেওয়া রয়েছে। সেই ফাঁকে বক্সগুলোতে উপযুক্ত তথ্য প্রদান করতে হবে।

প্রথম ফাঁকা বক্সটিতে পিতার জন্ম নিবন্ধন এর নাম্বার বসাতে হবে। দ্বিতীয় বক্সের প্রথম অংশে পিতার নাম বাংলায় এবং দ্বিতীয় অংশে পিতার নাম ইংরেজিতে বসাতে হবে। তৃতীয় ফাঁকা বক্সটিতে পিতার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার বসাতে হবে। সর্বশেষ ও ৪ নম্বর ড্রপডাউন বক্সটি থেকে পিতার জাতীয়তা উল্লেখ করতে হবে। মাতার তথ্য সেকশন টিতে পিতার তথ্য যেভাবে দেওয়া হয়েছে অনুরূপভাবে সকল তথ্য বসাতে হবে। 

তাই সন্তানের নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন বা জন্ম সনদ তৈরি করার পূর্বে পিতা মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন থাকতে হবে। তবে পিতা বা মাতার কারো অথবা উভয়ের জন্ম যদি ২০০০ সালের পূর্বে হয় তাহলে জন্ম নিবন্ধন নম্বর এর প্রয়োজন নেই। সব ঠিকঠাক থাকলে "পরবর্তী" বাটনে ক্লিক করুন।

"পরবর্তী" বাটনে ক্লিক করলে উপরের চিত্রের মত একটি ইন্টারফেস আপনার সামনে ওপেন হবে।সেখানে আপনার স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানার তথ্য বিস্তারিতভাবে প্রদান করতে হবে। পূর্বেকার তথ্য অনুযায়ী এবং পিতা-মাতার তথ্যের ভিত্তিতে অটোমেটিক একটি ঠিকানা bdris.gov.bd এই ওয়েবসাইটটি ফেচ করে নেবে। কিন্তু আপনি সেই ঠিকানাটি একসেপ্ট না করে "কোনোটিই নয়" অপশনে ক্লিক করবেন। 
"কোনোটিই নয়" অপশনে ক্লিক করলে নিচের চিত্রের মত আরেকটি নতুন ইন্টারফেস আপনার সামনে চলে আসবে। jonmo nibondhon online জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম গুলো ভালো ভাবে অনুসরণ করুন। 

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন পাত্রের এই অংশের তথ্যগুলো যথাযথভাবে প্রদান করতে হবে। উপরের চিত্রে দেখতে পাচ্ছেন দুটি চেকবক্স রয়েছে যেখানে লেখা রয়েছে "স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা একই"। যদি আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা একই হয় তাহলে সেই চেকবক্সটিতে টিক মার্ক দিয়ে ঠিকানা অংশটি পূরন করুন। আর যদি বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা আলাদা হয় তাহলে উপরের অংশটিতে স্থায়ী ঠিকানা এবং নিচের অংশে বর্তমান ঠিকানা পূরণ করুন। নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন বা jonmo nibondhon করার ক্ষেত্রে এই অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

প্রথম ড্রপডাউন বাটনটি থেকে দেশ সিলেক্ট করতে হবে। দ্বিতীয় ড্রপডাউন বাটনটি থেকে  বিভাগ সিলেক্ট করতে হবে। দ্বিতীয় ফাঁকা বক্সটির প্রথম অংশে ডাকঘর বাংলায় লিখতে হবে, এবং দ্বিতীয় অংশে ডাকঘর ইংরেজিতে লিখতে হবে। 

তৃতীয় ফক্সটের প্রথম অংশে গ্রাম, পাড়া বা মহল্লার নাম বাংলায় লিখতে হবে এবং দ্বিতীয় অংশে গ্রাম, পাড়া বা মহল্লার নাম ইংরেজিতে লিখতে হবে। চতুর্থ ফাঁকা বক্সটির প্রথম অংশে বাসা ও সড়কের নাম এবং নাম্বার লিখতে হবে বাংলায়, এবং দ্বিতীয় অংশে বাসা ও সড়কের নাম এবং নাম্বার লিখতে হবে ইংরেজিতে। এরপর "পরবর্তী" বাটনে ক্লিক করুন। "পরবর্তী" বাটনে ক্লিক করার পর নিচের চিত্রের মত একটি ইন্টারফেস আপনার সামনে ওপেন হয়ে যাবে।

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার সঠিক নিয়ম 2022 এরে অংশে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটা হলো নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন যে করেছে তার তথ্য। অর্থাৎ নিজেই কি নিজের জন্ম নিবন্ধন আবেদন করেছে নাকি তার পক্ষ থেকে তার কোনো অভিভাবক তার জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করেছে এই তথ্যটি প্রদান করতে হবে। আপনি যদি নিজেই নিজের নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করে থাকেন তাহলে দুটি চেকবক্সের মধ্যে থেকে "নিজ" অপশনটিতে টিক মার্ক দিন।

আর যদি আপনার পক্ষ থেকে অন্য কেউ আবেদন করে থাকে তাহলে "অন্যান্য" অপশনটিতে টিক মার্ক দিন। প্রথম ফাঁকা বক্সটিতে আবেদনকারীর নাম বসাতে হবে। দ্বিতীয় ফাঁকা বক্সটিতে আবেদনকারীর ফোন নম্বর বসাতে হবে এবং তৃতীয় ফাঁকা বক্সটিতে আবেদনকারীর ইমেইল এড্রেস বসাতে হবে। এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করলেই আপনার নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন টি সম্পন্ন হয়ে যাবে।
আবেদনটি সম্পন্ন হয়ে গেলে, জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট আকারে বের করতে হবে। প্রিন্ট করার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি সহ ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বা জন্ম নিবন্ধন স্থানীয় সরকার কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। 

জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট করে জমা দানের সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একটি অফিস কপি রেখে আবেদনকারীকে গ্রাহক কপি প্রদান করবে। যখন জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন হয়ে যাবে তখন জন্ম নিবন্ধন কারের মোবাইলে কি এসএমএস প্রদান করা হবে, তখন গ্রাহক কপিটি সাথে নিয়ে এসে জন্ম নিবন্ধন এর মূল কাগজ নিয়ে যেতে হবে।

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার সঠিক নিয়ম এর চিত্র সমুহ নিচে তুলে ধরা হলো: 






জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম - জন্ম নিবন্ধন নতুন লিংক 

আগে হাতে লিখে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করার সুযোগ থাকলেও বর্তমানে হাতে লিখে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করার কোনো সুযোগ নেই। জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত সমস্ত কিছুই এখন অনলাইনে করতে হয়। আর এ কারণেই জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম ধাপে ধাপে এবং সুন্দরভাবে উপরে বর্ণনা করা হয়েছে। আপনি যদি সেটি পড়ে না থাকেন তাহলে এখান থেকে পড়ে আসতে পারেন।

জন্ম নিবন্ধন নতুন লিংক টি হলো  https://bdris.gov.bd/br/application . জন্ম নিবন্ধন নতুন লিংক  টির মাধ্যমে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন, জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা এবং জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবেন। তাই জন্ম নিবন্ধন নতুন লিংক দিতে গিয়ে জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য দেখে আসতে পারেন।

jonmo nibondhon online বা জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা

নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার পর জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা জানা বা jonmo nibondhon check করাটা অনেক সময় জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। কেননা নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার পরেও যদি  নির্দিষ্ট সময়ে যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন না হয়ে থাকে সমস্যা খুঁজে বের করতে হবে। তাই জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার মনে যদি এরকম প্রশ্ন জাগে জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা কিভাবে জানতে পারব?  তাহলে আপনাকে জন্ম নিবন্ধন যাচাই বা জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি ডাউনলোড করতে হবে। যদি সঠিকভাবে আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি ডাউনলোড করতে পারেন তাহলে বুঝবেন যে আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা খুবই ভালো।

আর যদি না আসে তাহলে আপনাকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ অফিস বা জন্ম নিবন্ধন স্থানীয় সরকার কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা জানতে এখানে ক্লিক করুন।

নতুন জন্ম নিবন্ধন ফি কত টাকা ২০২৩

জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০১৭ অনুযায়ী জন্ম-মৃত্যুর ফি পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। কোন ব্যক্তির জন্য নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফি কত টাকা পুনঃনির্ধারিত কত টাকা তা নিচে তুলে ধরা হলো।

  • শিশু জন্মের .৪৫ দিনের মধ্যে যদি জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যায় তাহলে কোন সেই প্রযোজ্য হবে না।
  • দেড় মাসের পর থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত জন্ম নিবন্ধন ফি সর্বসাকুল্যে ২৫ টাকা। আর বিদেশ থেকে জন্ম নিবন্ধন উত্তোলন করলে ১ মার্কিন ডলার ফি প্রদান করতে হবে।
  • পাঁচ বছর থেকে তদুর্ধ বয়সী ব্যক্তিদের জন্ম নিবন্ধন ফি সর্বসাকুল্যে ৫০ টাকা। আর বিদেশ থেকে জন্ম নিবন্ধন উত্তোলন করলে ১ মার্কিন ডলার ফি প্রদান করতে হবে।
  • বাংলা ও ইংরেজী উভয় বাসাতে নকল সংগ্রহ করলে ৫০ টাকা ফি জমা দিতে হবে। 

jonmo nibondhon check,  germany bandhan বা  জন্ম নিবন্ধন যাচাই

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার পর জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার গুরুত্বপূর্ণ। আপনার মানুষদের কোন প্রশ্ন জাগে jonmo nibondhon check,  germany bandhan বা  জন্ম নিবন্ধন যাচাই করবো কিভাবে তাহলে আর্টিকেল এর এই অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কিভাবে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে হয় তার সঠিক পদ্ধতি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা রিফাট অর্থ প্রদান করছে না পারলে jonmo nibondhon check করা সম্ভব নয়।

জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার জন্য প্রথমে আপনাকে এই লিংকে প্রবেশ করতে হবে, এখানে যে সকল তথ্য চাওয়া হবে সেগুলো যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। সবকিছু যদি ঠিক থাকে তাহলে আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আর যদি সঠিক তথ্য প্রদানের পরেও আপনার কোন না আসে তাহলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় বা স্থানীয় সরকার কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে। jonmo nibondhon check,  germany bandhan বা  জন্ম নিবন্ধন যাচাই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ - জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ কিভাবে করতে হয় সেটা উপরে ধাপে ধাপে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তাই এই অংশে সেটি পুনরায় বলার প্রয়োজন নেই। আপনি যদি উপরে বর্ণিত জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ সংক্রান্ত লেখাটি পড়ে না থাকেন তাহলে এখান থেকে পড়ে আসতে পারেন।

আগে হাতে লিখে জন্ম নিবন্ধন করা গেলেও এখন সেটি করা সম্ভব নয়। তাই  অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। অনলাইনে তথ্য পূরণ করার আগে জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট করা যাবে না। অনলাইনে যথাযথভাবে জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার পর জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে বা স্থানীয় সরকার কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার সঠিক নিয়ম 2023: প্রশ্নোত্তর পর্ব


  • কোন শিশু বিদেশে জন্মগ্রহণ করলে দেশে কি তার জন্ম নিবন্ধন করা যাবে?
আবেদনকারী যদি বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হয় জন্মগ্রহণকারী শিশু যদি বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিকত্বের যথাযথ প্রমাণ দাখিল করতে হবে। সকল কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকলে আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে jonmo nibondhon online এ আবেদন করতে হবে। 

  • একই ব্যক্তি একাধিকবার জন্ম নিবন্ধন করতে পারবে কি?
একই ব্যক্তির অনুকূলে একাধিক জন্ম নিবন্ধন করা কখনোই সম্ভব নয় একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র একবারই জন্ম নিবন্ধন করতে পারবে। যদি কেউ কোন অসৎ উপায় অবলম্বন করে একাধিক জন্ম নিবন্ধন করে থাকে তাহলে এটা ২০০৪ এর ২১ ধারা অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ।

  • পুরাতন জন্ম সনদ কিভাবে ডিজিটাল বা নতুন করবো। ( জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ১৭ ডিজিটে রূপান্তরিত করব )
পুরাতন জন্ম সনদ ডিজিটাল করার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন অফিস বা স্থানীয় সরকার কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন। পুরাতন জন্ম সনদ কিভাবে ডিজিটাল করতে হয় বা জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম সম্পর্কে যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এখান থেকে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম দেখে আসতে আসতে পারেন।

  • বিবাহিত নারীদের জন্য কি তার স্বামীর নাম উল্লেখ করতে হবে? এবং স্থায়ী ঠিকানা কোনটি হবে?
বিবাহিত নারীদের জন্ম সনদে কোনভাবেই স্বামীর নাম উল্লেখ করা যাবে না, সেখানে পিতা-মাতার নাম উল্লেখ করতে হবে।  এবং স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে বিবাহের পূর্বে যেটি স্থায়ী ঠিকানা ছিল সেটা লিখতে হবে। জন্ম নিবন্ধন নতুন লিংক উপরে দেওয়া হয়েছে দেখে নিতে পারেন। 

  • জন্ম সনদের জন্ম তারিখ পরিবর্তন করা যায়?
যেহেতু জন্ম সনদের তারিখ যথাযথ তথ্যের ভিত্তিতেই হয়ে থাকে তাই সাধারণত এটি পরিবর্তন করা যায় না। তবে বিশেষ কোনো অবস্থাতে আদালতের নির্দেশে জন্মতারিখ পরিবর্তিত হতে পারে।

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার সঠিক নিয়ম 2023: শেষ কথা

আশাকরি আর্টিকেলটি আপনাদের ভাল লাগল এবং যে উদ্দেশ্যে আর্টিকেলটি পড়েছেন সেটি পূরণ করতে পেরেছেন। যদি আপনার আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কেননা এটি তাদেরও কাজে লাগতে পারে। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে সামান্যতম উপকৃতও হন সেটি আমাদের পরম পাওয়া। 

এ ধরনের তথ্যবহুল, দৈনন্দিন জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। উপরোক্ত আর্টিকেলটির ব্যাপারে বা আমাদের ওয়েবসাইটটির ব্যাপারে যদি আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url